আল ফারাবী একজন খ্যাতনামা দার্শনিক। তাঁর পুরো নাম আবু নসর মুহাম্মদ বিন তুরখান বিল আওযালগ আল ফারাবী। আব্বাসীয় শাসনামলে ৮৭০ সালে তুর্কিস্থানের ফারাব শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ৯৫০ সালে দামেস্কে তিনি ইন্তেকাল করেন। এছাড়াও তিনি একজন মহাবিশ্বতত্ত্ববিদ, যুক্তিবিদ এবং সুরকার ছিলেন। পদার্থ বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান, দর্শন, যুক্তিশাস্ত্র, গণিতশাস্ত্র, চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রভৃতিতে তার অবদান উল্লেখযোগ্য। পদার্থ বিজ্ঞানে তিনিই 'শূন্যতা'-র অবস্থান প্রমাণ করেছিলেন।
আল ফারাবী গভীরভাবে অ্যারিস্টটলের দর্শন দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। তিনি তার সুদীর্ঘ জীবনকালের এক বিরাট অংশ অ্যারিস্টটলের অধ্যয়নে এবং তাঁর মতবাদসমূহের টীকা রচনা ও সমালোচনায় ব্যয় করেছেন। কথিত আছে, তিনি প্রয় সত্তরটি নোটবুকে দর্শনশাস্ত্রের সারাংশ লিপিবদ্ধ করেন। অ্যারিস্টটলের দর্শনে তাঁর অগাধ পান্ডিত্য ছিল। এ কারণে তাকে ‘মুয়াল্লাম সানী’ বা দ্বিতীয় অ্যারিস্টটল বলা হতো। ফারাবীর মতে, দর্শন সকল বিজ্ঞানের আদি বিজ্ঞান। দার্শনিক জ্ঞান লাভ করা মানব জীবনের পরম লক্ষ্য। দর্শন অনুশীলনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে যুক্তিবিদ্যা - অধিবিদ্যা জ্ঞান এবং ভালো চরিত্র গঠনকে উল্লেখ করেন। আল ফারাবী ছিলেন সর্ব খোদাবাদের(Pantheism) সমর্থক। রাষ্ট্র নিয়ে আল ফারাবী দার্শনিক মত প্রকাশ করেন এবং আদর্শ রাষ্ট্র সংজ্ঞায়ীত করেন। আল ফারাবীকে প্রাচ্যের শ্রেষ্ঠ মুসলিম দার্শনিক বলা হয়।
আল ফারাবী গভীরভাবে অ্যারিস্টটলের দর্শন দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। তিনি তার সুদীর্ঘ জীবনকালের এক বিরাট অংশ অ্যারিস্টটলের অধ্যয়নে এবং তাঁর মতবাদসমূহের টীকা রচনা ও সমালোচনায় ব্যয় করেছেন। কথিত আছে, তিনি প্রয় সত্তরটি নোটবুকে দর্শনশাস্ত্রের সারাংশ লিপিবদ্ধ করেন। অ্যারিস্টটলের দর্শনে তাঁর অগাধ পান্ডিত্য ছিল। এ কারণে তাকে ‘মুয়াল্লাম সানী’ বা দ্বিতীয় অ্যারিস্টটল বলা হতো। ফারাবীর মতে, দর্শন সকল বিজ্ঞানের আদি বিজ্ঞান। দার্শনিক জ্ঞান লাভ করা মানব জীবনের পরম লক্ষ্য। দর্শন অনুশীলনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে যুক্তিবিদ্যা - অধিবিদ্যা জ্ঞান এবং ভালো চরিত্র গঠনকে উল্লেখ করেন। আল ফারাবী ছিলেন সর্ব খোদাবাদের(Pantheism) সমর্থক। রাষ্ট্র নিয়ে আল ফারাবী দার্শনিক মত প্রকাশ করেন এবং আদর্শ রাষ্ট্র সংজ্ঞায়ীত করেন। আল ফারাবীকে প্রাচ্যের শ্রেষ্ঠ মুসলিম দার্শনিক বলা হয়।