Friday, April 19, 2019

দ্বিতীয় শিক্ষক হিসেবে আল ফারাবী

তুর্কি বংশোদ্ভূত আল ফারাবী (৮৭০-৯৫০) মুসলিম বিশ্বের একজন মৌলিক চিন্তাবিদ ছিলেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী আল ফারাবী দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, অধিবিদ্যা, নীতিশাস্ত্র ও রাষ্ট্রনীতিতে সৃজনশীল চিন্তা ও ধ্যান ধারণার অধিকার ছিলেন। এসব কারণে তাকে ‘২য় শিক্ষক’ এবং ‘২য় অ্যারিস্টটল’ বলা হয়।


ফারাবীর পরিচয়ঃ আবু নাসের আল ফারাবী ৮৭০ সালে তুরস্কের ফারাব জেলার অন্তর্গত ওয়াজিস বা ওয়াসিজ নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা একজন পারসিক বা তুর্কি বংশোদ্ভূত নাবিক ছিলেন। তুর্কিস্তানে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে তিনি বাগদাদে আরবী ও গ্রীক ভাষা অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে তিনি আবুল বাশার ও সাত্তা-বিন-ইউসুফের নিকট যুক্তিবিদ্যা ও গ্রীকদর্শন অধ্যয়ন করেন। আল ফারাবিদর্শন ছাড়াও যুক্তিবিদ্যা ও সংগীতের ন্যায় জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অবদান রাখেন। তিনি একজন খ্যাতনামা দার্শনিক ও বহুভাষাবিদ পন্ডিত। তিনি প্রায় সত্তরটি ভাষা জানতেন। আর যে কারণে আরবরা তাকে বলতো “হাকিম সিনা” অর্থাৎ দ্বিতীয় আচার্য বা দ্বিতীয় শিক্ষক।


দ্বিতীয় শিক্ষক হিসেবে আল ফারাবীর অবদানঃ
রাষ্ট্রদর্শনঃ আল ফারাবী রাষ্ট্রদর্শনে মূলত অ্যারিস্টটল ও প্লেটোকে অনুকরণ করেছেন। তিনি প্লেটোর “Republic & Laws” গ্রন্থের উপর নির্ভর করে রাষ্ট্রবিষয়ক গবেষণা করেন। প্লেটোর মতো তিনিও ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক তুলে ধরেন।
অধিবিদ্যাঃ ফারাবী বলেন আল্লাহ হতে সবকিছুর জন্ম। তার জগতের প্রত্যেকটি ঘটনা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া অনুসারে ঘটতে থাকে।
যুক্তিবিদ্যাঃ ফারাবির মতে যুক্তিবিদ্যা কেবলমাত্র বৈজ্ঞানিক চিন্তার বিশ্লেষণ নয়। বরং এটা ব্যকরণ ও জ্ঞানের উপরে  অনেক সমালোচনা ও আলোচনা করে। 

No comments:

Post a Comment